অধ্যক্ষের বাণী
মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট বিশ্ব জগতের সব কিছুই আপন গতিতে নিয়ম মাফিক চলমান। তাঁর সৃষ্টির রহস্য উদ্ঘাটন করা মানুষের পক্ষে অনেক সময় দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত জ্ঞান যাকে যেমনভাবে দে’য়া হয়েছে তা উৎকর্ষণে বিকশিত করে কেউ হয়ে উঠছে বিজ্ঞানী, কেউ লেখক আবার কেউ বা সাধক গুণি শিল্পী। মানুষ কর্তৃক উদ্ভাবিত যে সমস্ত বিষয়াদি আমাদের দৃষ্টিতে মনে হয় সেগুলো নতুন নতুন কোন আবিস্কার তবে হৃদয় গভীরে প্রশ্ন করলে তার উত্তর মেলে যে সেগুলোর আদিরূপ-এর ক্রমবিকাশ শতরূপে শতধারায় মানুষ ঘটিয়েছে তার জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তার সর্বোত্তম ব্যবহার করে। বর্তমান আকাশ সংস্কৃতির বদৌলতে মানুষের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে দেশি-বিদেশি, জানা অজানা নানারকম বৈচিত্রময় কৃষ্টি-সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, শিল্প-সাহিত্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান, যোগাযোগও তথ্য প্রযুক্তি। মানুষের হাতের নাগালে এনে দিয়েছে গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে, সবকিছুর যোগান ও সহজপ্রাপ্যতা করে দিয়েছে অজানাকে জানা, দূরকে করেছে কাছের এবং অসাধ্যকে করেছে সহজসাধ্য। এসবই সম্ভব হচ্ছে শিক্ষার আলো যেখানে বিস্তার লাভ করেছে। শিক্ষার্থীর নৈতিক মূল্যবোধ, জ্ঞান, মেধা, ও প্রতিভা বিকাশের সর্বোৎকৃষ্ট স্থান হ’ল বিদ্যাপীঠ বিস্তারিত পড়ুন
সভাপতি মহোদয়ের বাণী
ইতালিয়ান মিশনারী ফাদাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বনপাড়া ধর্মপল্লীর সেন্ট যোসেফের স্কুল এন্ড কলেজ উত্তর বঙ্গের একটি সুপরিচিত বিদ্যাপিঠ। মিশনারী ফাদারগণ ভক্তবিশ্বাসী তথা সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৪০ খ্রীষ্টাব্দে বনপাড়া ধর্মপল্লী প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ধর্মপল্লী প্রতিষ্ঠার পূর্বে প্রাইমারী স্কুলের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বনপাড়ার বনলোকে আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষে প্রাইমারী স্কুলটি পরবর্তীতে হাইস্কুলে এবং ২০১৫ খ্রীস্টাব্দে কলেজ শাখায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে তিন হাজার তিনশত শিক্ষার্থী নিয়ে আধুনিক মনোরম পরিবেশে বিদ্যাপিঠটি পরিচালিত হচ্ছে। মিশনারীদের উদ্দেশ্য ও প্রচেষ্টাকে অক্ষুন্ন রেখে বর্তমানে দেশীয় ফাদারগণ দক্ষতার সাথে বিদ্যালয়টি পরিচালনা বিস্তারিত পড়ুন
সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজ, বনপাড়া একটি উৎকৃষ্ট বিদ্যাপীঠ
দর্শন
সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজ, বনপাড়া একটি ক্যাথলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দৃঢ় প্রত্যয়ী যে, একজন শিক্ষার্থী যত্নশীল পরিবেশের মধ্যে অবস্থান করে তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষা লাভে সক্ষম। সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজ এর পরম প্রচেষ্টা একটি অর্থপূর্ন, যুগোপযুগি ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে সামগ্রিক দায়িত্তবোধসম্পন্ন আদর্শ যোসেফাইটে পরিণত করে।
স্বপ্ন/দূরদর্শিতা
আমরা যোসেফাইটগণ সাধু যোসেফ এর অধ্যাত্বিকতায় অনুপ্রাণিত হয়ে নৈতিক ও সামাজিক ভাবে দায়বদ্ধ শিক্ষার্থীদের শিক্ষায়াতনিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সুদক্ষ ও প্রযুক্তিগতভাবে সামর্থবান সুশিক্ষিত মানুষ করে গড়ে তুলতে যারা সামাজিক চেলেঞ্জ এবং সময়োপযোগী দাবির প্রেক্ষাপটে নিজেদেরকে সক্ষম করে গড়ে তুলতে পারে।
লক্ষ্য-উদ্দেশ্য
আমরা যোসেফাইটগণ দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ছাত্র ছাত্রীদের জন্য যথার্থ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে তাদের নৈতিক, আধ্যাতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং শারীরিক বিকাশ সাধন করতে, শিক্ষা প্রক্রিয়ার সার্বিক উন্নতি ঘটাতে, বিস্তৃত সেবাদানের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সামাজিক দায়িত্ববোধ ও সংঘবদ্ধতা বৃদ্ধি করতে এবং মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে প্রযুক্তিগতভাবে তাদেরকে সুনিপুন করে তুলতে।
SJSC শিক্ষার্থীদের প্রতিজ্ঞা
শৃঙ্খলা নীতি ও নিয়মাবলী
সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজ এ ছাত্র-ছাত্রীদের শৃঙ্খলা ও নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষাকে অন্যতম প্রাধান্য দিয়ে থাকে । উক্ত প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ম, শৃঙ্খলা মেনে চলা বাঞ্ছনীয়।
স্বর্গীয় ফা: কার্নেভেল্লী ও ফা: থোমাস কাত্তানেয় স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় বনপাড়াতে ১৯৩০ খ্রি: একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বিশপ ওবের্তের অনুপ্রেরণায় ফাদার ভেরপেল্লি ও ফাদার চেসকাতর প্রচেষ্টায় ১লা জানুয়ারি ১৯৬৩ খ্রি: মাধ্যমিক স্কুল এবং পরবর্তীতে ২০১৫ খ্রি: কলেজ শাখা স্থাপিত হয় যা বনপাড়া ও আশেপাশের এলাকায় শিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিস্তারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে ।
“শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড” কথাটি সর্বজন স্বীকৃত। অন্য দিকে জাতীয় জীবনে সার্বিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত শিক্ষা। বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে খ্রিস্টান মিশনারীগণ প্রসংশনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। মিশনারীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে শিক্ষার আলো বিতরণ করে চলছে। ত্রিশের দশকে জীবন ও জীবিকার তাগিদে এতদ অঞ্চলে খ্রিষ্ট ধর্মালম্বিদের বসবাস শুরু হয়। অত্র এলাকায় তেমন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় প্রয়াত ফ্রান্সিস গমেজ স্ব-উদ্যোগে নিজ বাড়ির আঙিনায় গুটিকতক ছেলে-মেয়েকে পড়াতে শুরু করেন। প্রয়াত ফ্রান্সিস গমেজের উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং স্থানীয় চাহিদার গুরুত্ব বিচার করে স্বর্গীয় ফা: কার্নেভেল্লী ও ফা: থোমাস কাত্তানেয় স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় বনপাড়াতে ১৯৩০ খ্রি: একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন বিস্তারিত জানুন…