ইতালিয়ান মিশনারী ফাদাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বনপাড়া ধর্মপল্লীর সেন্ট যোসেফের স্কুল এন্ড কলেজ উত্তর বঙ্গের একটি সুপরিচিত বিদ্যাপিঠ। মিশনারী ফাদারগণ ভক্তবিশ্বাসী তথা সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৪০ খ্রীষ্টাব্দে বনপাড়া ধর্মপল্লী প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ধর্মপল্লী প্রতিষ্ঠার পূর্বে প্রাইমারী স্কুলের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বনপাড়ার বনলোকে আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষে প্রাইমারী স্কুলটি পরবর্তীতে হাইস্কুলে এবং ২০১৫ খ্রীস্টাব্দে কলেজ শাখায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে তিন হাজার তিনশত শিক্ষার্থী নিয়ে আধুনিক মনোরম পরিবেশে বিদ্যাপিঠটি পরিচালিত হচ্ছে। মিশনারীদের উদ্দেশ্য ও প্রচেষ্টাকে অক্ষুন্ন রেখে বর্তমানে দেশীয় ফাদারগণ দক্ষতার সাথে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করেছেন।
খ্রীষ্টমন্ডলীর অন্যতম একটি আহবান হলো আলোকিত মানুষ ও সৎ নাগরিক গড়ে তোলা। বন-জঙ্গলে ঘেরা বনপাড়ার এই জনপদে শিক্ষার আলো জ্বেলেছিল সেন্ট যোসেফস্ নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এই জনপদের শিক্ষিত মানুষ মাত্রই সেই কথা স্বীকার করে। ঐতিহ্য ও শিক্ষার মশাল জ্বালিয়ে রেখেছে এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠটি। সময়ের প্রবাহমান গতিতে জীবনের অনেক পরিবর্তন এসেছে। ‘শিক্ষার বিকল্প নেই’ এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে সেন্ট যোসেফস্ তার মহিমান্বিত স্বরুপ বিকশিত করছে আলোকিত মানুষ তথা জীবন গঠনের শিক্ষাদানের মাধ্যমে।
শিক্ষা শুদ্ধ, সুন্দর জীবন ও বাস্তবতা নিয়ে বেঁচে থাকার একটি অন্যতম প্রক্রিয়া। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সমন্বয় রেখে এই বিদ্যালয়টি এগিয়ে যাচ্ছে দেশ গড়ার কাজে, সৎ ও নির্ভীক নাগরিক গড়ার মহান লক্ষ পথ ধরে। আধুনিক শিক্ষণ পদ্ধতির অন্যতম একটি প্রক্রিয়া হলো ‘ওয়েব সাইট’ যা বিদ্যাপিঠের ‘দর্পণ স্বরুপ’। উন্নয়নের এই জীবন ধারায় আধুনিক গণ-মাধ্যমে একটি অপরিহার্য বিষয়। তাই শিক্ষণ পদ্ধতি, যোগাযোগ ও সম্পর্কের বন্ধনকে দৃঢ় করার লক্ষে প্রতিষ্ঠানে ‘ওয়েব সাইট’ চালু করা হয়েছে। সুশিক্ষার অন্যতম মূল্যবোধ হলো সত্যতা, বিশ্বাস ও মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে বেড়ে উঠা। সেন্ট যোসেফস্ পাঠ্য পুস্তুকের শিক্ষার সাথে আরো বহুবিধ সহ শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছে যা প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সৎ ধার্মিক ও মানবিক চেতনার মানুষ হতে সহায়তা দিবে। পারস্পারিক যোগাযোগ, সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের পথ ধরে বিদ্যাপিঠের অগ্রগতি ও উন্নয়ন ঘটুক এই প্রত্যাশা ও প্রার্থনা করি।
সকলের সাহায্য সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও সমর্থনের মাধ্যমে সেন্ট যোসেফস্ বিদ্যাপিঠটি উত্তর জনপদের শিক্ষার একটি ‘বাতিঘর’ হয়ে আলো ছড়িয়ে পড়ুক শত-সহস্র বছর ধরে। শুভেচ্ছা, অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদ, অভিভাবক ও সবাইকে। জীবন স্রষ্টার অশেষ আর্শিবাদ সবার উপর বর্ষিত হোক।
আপনাদের সেবক,
শুভেচ্ছান্তে,
ফাদার দিলীপ এস. কস্তা
সভাপতি, গর্ভনিং বডি,
সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজ, বনপাড়া।